শহীদ আফ্রিদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বেশ কয়েকবছর হয়ে গেল। যতদিন দলের হয়ে খেলেছেন অনেক হারা ম্যাচে জয় এনে দিয়েছেন পাকিস্তানকে। এদিকে, পাঁচ মেয়ের বাবা হয়ে নিজেকে গর্বিত ভাবেন সাবেক পাক অধিনায়ক শহিদ খান আফ্রিদি। তিনি বলেন, আমি পাঁচটি দুর্দান্ত মেয়ের বাবা হয়ে বলতে পারি- নারীদের মধ্যে পৃথিবী বদলে দেয়ার সামর্থ আছে।
মঙ্গলবার নারী দিবস উপলক্ষে এক টুইটে তিনি এ কথা বলেন। ওই টুইটে পাঁচ মেয়ে ও স্ত্রীর ছবি শেয়ার করেন আফ্রিদি। তাতে নারীর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তুমি মহাবিশ্বকে জীবন্ত, আরো রঙিন এবং অনুপ্রেরণামূলক করে তুলতে পারো।’
সাবেক অলরাউন্ডার নারী দিবসে তাদের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি লিখেন, ‘আসুন আমরা প্রতিদিনই নারী দিবস পালন করি এবং তাদের সহযোগিতা করি।’ শহিদ খান আফ্রিদির পাঁচ মেয়ে। তারা হলেন- আকসা, আজওয়াহ, ইনশা, আসমারা ও আরওয়াহ।
আগেই চার কন্যাসন্তানের গর্বিত বাবা ছিলেন পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি। এবার আফ্রিদি-দম্পতির কোল আলো করে এল আরও এক মেয়ে। সুসংবাদটা আফ্রিদি নিজেই দিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে
পাকিস্তানি অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদি তাঁর আত্মজীবনী ‘দ্য গেম চেঞ্জার’-এ লিখেছেন, কন্যাসন্তান পরিবারে সৌভাগ্য বয়ে আনে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। এটা অবশ্য তাঁর চেয়ে ভালো আর কেই–বা জানে! বইটি যখন লিখেছেন, চার কন্যাসন্তানের বাবা ছিলে পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার। সৌভাগ্য তাঁকে আবারও হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। পঞ্চমবারের মতো কন্যাসন্তানের বাবা হয়েছেন আফ্রিদি।
আকসা, আনশা, আজওয়া, আসমারা—আফ্রিদির চার মেয়ে। এই চারজনের সঙ্গে সম্প্রতি যুক্ত হয়েছে আরও একজন। আনন্দের খবরটা আফ্রিদি নিজেই দিয়েছেন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে, ‘সর্বশক্তিমানের অসংখ্য আশীর্বাদ ও করুণা আমার ওপরে বর্ষিত হচ্ছে। এর আগে চারজন অসাধারণ কন্যাসন্তানের বাবা হওয়ার পর এখন আমি পঞ্চম মেয়ের বাবা হয়েছি। খুশির খবরটা আমার শুভানুধ্যায়ীদের জানালাম।’ তবে পঞ্চম মেয়ের নাম কী রেখেছেন, সেটা এখনো জানাননি আফ্রিদি।
নিজের আত্মজীবনীতে এর আগে নিজের মেয়েদের নিয়ে অনেক কিছুই লিখেছেন এই পাকিস্তানি অলরাউন্ডার। নিজের ফর্মহীনতা থেকে ফিরে আসা, ক্রিকেট মাঠ ও মাঠের বাইরে নিজের ভাগ্যের উন্নতি হওয়ার পেছনে নিজের মেয়েদের ভূমিকা দেখেন আফ্রিদি সব সময়। এমনকি স্ত্রী জীবনে আসার পরেও তাঁর ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছিল বলে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের সংস্কৃতিতে এটা বিশ্বাস করা হয়, মেয়েরা পরিবারে সৌভাগ্য বয়ে নিয়ে আসে।
আমি যখন বিয়ে করলাম, আমার সৌভাগ্যের চাকা ঘুরতে শুরু করল। পরের বছরগুলোয় আমি একে একে চার (এখন পাঁচ) কন্যাসন্তানের বাবা হলাম। সত্যি বলতে কি, একেকজনের জন্ম আমার জীবনে শুধু সৌভাগ্যই এনেছে। কন্যাসন্তান আশীর্বাদস্বরূপ, আসলেই।’ যিনি নিজের মেয়েদের এত ভালোবাসেন, পঞ্চম কন্যাসন্তান হওয়ার পর তিনি আরও খুশি হবেন, এ কথা বলেই দেওয়া যায়!
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত প্রদান করুন।
Leave a Reply