ভালো প্রস্তুতি আর পরীক্ষায় ভালো করা দুইটা ভিন্ন জিনিস। পরীক্ষার হলে অনেকেই নার্ভ ধরে রাখতে পারেন না৷ অনেকের কাছেই বিসিএস প্রিলিমিনারি স্বপ্ন পূরনের প্রথম ধাপ। তাই একটু Extra প্রেশার কাজ করে। এই এক্সট্রা প্রেশারের কারনে দুই ঘন্টা বা ১২০ মিনিট অনেক কম সময় মনে হতে পারে ২০০ টি প্রশ্নের জন্য।
Nervousness এর কারনে কনফিউশান কাজ করা শুরু করে এবং স্বাভাবিকভাবে আমরা চিন্তা করতে পারি না। নরমাল সময়ের খুব পরিচিত প্রশ্নও আপনার কাছে নতুন মনে হওয়া শুরু হবে৷ সংবিধানের ২৭ ধারাকে ২৮ মনে হওয়া শুরু হবে৷ যা আন্সার করেছেন এনাফ কিনা ভাবতে ভাবতে আন্দাজে দাগানো শুরু করে দিবেন যা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ব্যাক ফায়ার করবে। পরিস্থিতি খুব খারাপ হলে নিজেকে খুব অসহায় লাগবে কিংবা কান্না আসবে৷ সো এইসব সিচুয়েশন হ্যান্ডেল করার জন্য আপনার এখন থেকেই প্রতিদিন দুইটি করে মডেল টেস্ট দেয়া শুরু করতে হবে৷ চেস্টা করবেন ১ ঘন্টা ১৫ মিনিটের মধ্যেই একটি মডেল টেস্ট শেষ করার। পড়ার টাইমে আমি মডেল টেস্ট দিতে অনুৎসাহিত করি৷ রাতে ঘুমানোর আগে কিংবা দুপুরে খাওয়ার আগে বা সন্ধ্যার আগে আগে মডেল টেস্ট দিয়ে দিবেন৷ পারলে আশেপাশের কাউকে দিয়ে আন্সার চেক করাবেন৷ ( নিজে করতে গেলে সময় নষ্ট হবে)।
শুধুমাত্র ভুলগুলো কি হলো দেখে নিবেন৷ আর অবশ্যই আন্সার করার সময় যেগুলো আন্সার করছেন মার্ক করে রাখবেন। হতে পারে সেটা রাউন্ড মার্ক কিংবা টিক চিহ্ন বা যেকোন কিছু। এতে করে আপনি কোনগুলো আন্সার করেননি খুব ইজিলি খুঁজে পাবেন। আবার পরীক্ষা দিয়ে এসে বাসায় এসেও বুঝতে পারবেন আসলে কতগুলো হতো, কত পেতে যাচ্ছেন।
Model Test দেয়ার জন্য যেকোন মডেল টেস্ট এর বই কিনে নিন( আমি প্রফেসরের টা ব্যাবহার করেছিলাম )। OMR শিট ৩০-৪০ কপি ফটোকপি করে নিন৷ আমি apps থেকে মডেল টেস্ট দিতে নিরুৎসাহিত করিনা কিন্ত এক্সাম ভাইব টা কিন্ত apps এ আসে না৷ তাই মডেল টেস্ট নিজ হাতে দেয়ার চেস্টা করুন। ২০-২৫ টা Model Test দেয়ার পর আপনি নিজের Improvement বুঝতে পারবেন। সময় অনেক কম লাগবে৷ সবচেয়ে বড় কথা পরীক্ষার হলে অনেক কিছুই পরিচিত মনে হওয়া শুরু করবে৷ Nervousness অনেকাংশে কমে যাবে৷ ভাগ্য সহায় হলে আপনার দেয়া মডেল টেস্ট থেকে ম্যাথ পর্যন্ত কমন পরে যাবে। (আমি ৩৮তম তে অনেক কিছু হুবুহু পেয়েছিলাম)।
Leave a Reply