স্বপ্ন ছিল বিসিএস কর্মকর্তা হবেন মিজানুর রহমান। কিন্তু বিসিএসে উত্তীর্ণ হতে পারেননি মিজানুর। তবে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়ে যান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ২০১৮ সালে শিক্ষকতা শুরু করেন তিনি। যোগ দেন ভোলার উত্তর চণ্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। মিজানুর বলেন, করোনার কারণে স্কুল বন্ধ হলে ফ্রিল্যান্সিং কাজে যুক্ত হলাম। কিন্তু স্কুল খোলার পর দেখা গেল, একসঙ্গে দুই কাজ সামলানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোপুরি ফ্রিল্যান্সিংয়ে সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। এখন প্রতি মাসে ফ্রিল্যান্সার মিজানুর রহমানের আয় প্রায় সাত লাখ টাকা। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সফলতার জন্য ২০২০ ও ২০২১ সালে পরপর দুই বছর ব্যক্তিগত বিভাগে বেসিস আউটসোর্সিং পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত হিসাবে মাসে ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হতো মিজানুরের। সে সময় গ্রাহকের চাহিদামতো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির তথ্য সাজিয়ে দেওয়ার কাজ করতেন। দক্ষতা বাড়াতে আরও প্রশিক্ষণ নেওয়ার পরিকল্পনা করলেন তিনি। এরই মধ্যে ৭৫টি দেশের গ্রাহকদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। সেগুলোর মধ্যে ফান্ডেড টুডে এলএলসি, এনভেনটিজ পার্টনারস, কোরি গ্রুপ, গ্যাজেট ফ্লো, ক্রাউডস্টারের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠানও আছে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে স্নাতক (সম্মান) ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন মিজানুর রহমান।
Leave a Reply